Saturday, November 18, 2017
Friday, November 17, 2017
শুরুর আগেঃ
সর্বপ্রথম ২০০৩ সালে ফ্রান্সিস ম্যাককেকে এবং কিথ ক্লার্কের পরিকল্পনায় এই প্রোগ্রামিং ভাষাকে নিয়ে পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। এই প্রতিবেদনে Go’কে যুক্তিবিজ্ঞান ও এজেন্ট-ভিত্তিক প্রোগ্রামিং ভাষা হিসাবে দেখানো হয়।
আশ্চর্যের বিষয়, নভেম্বর ২০০৯ সালে Google সবাইকে অবাক করে দিয়ে একই নামে Go প্রোগ্রামিং ভাষা প্রকাশ করে। এ বিষয়ে ফ্রান্সিস ম্যাককেকে মুখ খুললেও তাঁর এই প্রতিবাদ কোন কাজে আসেনি। এই মতবিরোধকে প্রতিহত করে Google Go’কে নিয়ে ইতিমধ্যে যে চিত্রনাট্য দেখিয়েছে তা সত্যিই ঈর্ষনীয়!
বিরোধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ঘুরে আসতে পারেন এখানে
ইতিহাসঃ
২00৭ সালের ২৫ শে সেপ্টেম্বর, Google প্রকৌশলী রব পাইকি, রবার্ট গ্রিসেরার এবং কেঞ্চ থম্পসন নতুন একটি প্রোগ্রামিং ভাষা নিয়ে আলোচনা করছিলেন তখন রব পাইকি এই প্রোগ্রামিং ভাষার নাম “Go” সুপারিশ করেন।
পরবর্তীতে ১০ নভেম্বর, ২০০৯ সালে সর্বপ্রথম অফিসিয়ালি এই প্রোগ্রামিং ভাষা পৃথিবীতে মুখ দেখার সামর্থ্য লাভ করে। বলে রাখা ভাল যে, Go ফ্রি, ওপেন সোর্স ভিত্তিক প্রোগ্রামিং ভাষাগুলোর মধ্যে একটি। এই ওপেন সোর্স কমিউনিটির সহায়তায় সর্বপ্রথম ২0১২ সালের ২৮ শে মার্চ Go ভার্শন ১ প্রকাশ পায়।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালের ২৪ মে Go’র সর্বশেষ ভার্সন ১.৮.৩ অবমুক্ত করা হয়। এই প্রোগ্রামিং ভাষা Linux, macOS, FreeBSD, NetBSD, OpenBSD, Windows, Plan 9, DragonFly BSD, Solaris সহ সকল অপারেটিং সিস্টেমে কাজ করার সামর্থ্য রাখে।
“শুরুর দিকে Google এই প্রোগ্রামিং ভাষা তাঁর নিজের কাজে ব্যবহার করলেও বর্তমানে এটি বহুল ব্যবহৃত প্রোগ্রামিং ভাষাগুলোর মধ্যে একটি”
Syntax বা শব্দবিন্যাসঃ
এই প্রোগ্রামিং ভাষার শব্দ বিন্যাস খুবেই সহজ এবং সাবলীল। C প্রেমীরা জেনে খুশি হবেন যে, Go’র শব্দবিন্যাস C এর সাথে কিছু ব্যতিক্রম থাকলেও অনেক খানিই সামঞ্জস্যপূর্ণ। প্রখ্যাত সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার Mark Summerfield বলেছেন, “Go অন্যান্য প্রোগ্রামিং ভাষার তুলনায় C এর খুব কাছাকাছি একটি প্রোগ্রামিং ভাষা।”
এজন্যই হয়ত গতিতে এ প্রোগ্রামিং ভাষা অন্য প্রোগ্রামিং ভাষা থেকে একটু এগিয়ে।
এজন্যই হয়ত গতিতে এ প্রোগ্রামিং ভাষা অন্য প্রোগ্রামিং ভাষা থেকে একটু এগিয়ে।
এছাড়াও Java, C, C++ এদের মতো এই প্রোগ্রামিং ভাষায় ‘;’ সেমিকোলন এর কোন ঝামেলা নেই। তাই আপনারা Go’র কোড করে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন। তাহলে আর দেরি কেন, চলুন না পরিচয় হওয়া যাক …
প্যাকেজ প্রধান আমদানি "fmt" func main () { fmt.Println ("প্রজেক্টর Avijatri") }
পরিপূর্ণতায় Go:
এই প্রোগ্রামিং ভাষার পরিপূর্ণতা এক কথায় প্রকাশ করতে গেলে সবার আগে Shopify এর CEO Tobias Lütke’র উক্তিটি জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। “ভবিষ্যতে Go’ই পৃথিবীর সার্ভার ভাষার নেতৃত্ব দিবে”-এই উক্তিটিই আসলে বলে দেয় এই প্রোগ্রামিং ভাষার ব্যাপকতা কতটা গভীর!
এরই ধারাবাহিকতায় ইতিমধ্যে, Go পৃথিবীর প্রায় অজস্র মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিছাড়াও Testing Frameworks, Relational Databases, Natural Language Processing, Web Frameworks, Science and Data Analysis, Machine Learning, Embeddable Scripting Languages, Game Development, Secuirty, Networking, Code Analysis সহ নানা ক্ষেত্রে ব্যাপক সফলতা দেখিয়েছে।
তাই এত সব পরিপূর্ণতা Go’কে নিয়ে গেছে এক অনন্য উচ্চতায়।
Go’র অফিসিয়াল website এ যেতে ক্লিক করুন এখানে।
তথ্যসূত্রঃ
Thursday, November 16, 2017
11’s Divisibility
To check a number which is divisible by 11 or not , we need to summation of all even positions digits and subtraction of all odd(except 1) positions digits. if the result is divisible by 11 then the whole number is divisible is by 11, otherwise not.
example :- Is 56782431895057 divisible by 11?
solution :-
here, summation of digits is :
5+6-7+8-2+4-3+1-8+9-5+0-5+7 = 11
which is divisible by 11,
so, the number is divisible by 11.
To see previous Post Visit here :-
https://mostafijurkajol.blogspot.com
9th Divisor!!
প্রথমে আমরা গণিতে ৯ দিয়ে বিভাজ্যতার একটি মজার বিষয় দেখি। বলুন তো ৬৯৮৪ সংখ্যাটি কি ৯ দিয়ে নিঃশেষে বিভাজ্য? এক নজর দেখেই বলতে হবে। পারলেন না তো? আমি বলছি, হ্যাঁ, নিঃশেষে বিভাজ্য। কীভাবে বললাম? খুব সোজা। প্রথমে সংখ্যার অঙ্কগুলো যোগ করি। যোগফল যদি ৯ দিয়ে নিঃশেষে বিভাজ্য হয়, তাহলেই সংখ্যাটি ৯ দিয়ে বিভাজ্য হবে। যোগফল যদি বড় হয়ে যায়, তাহলে অবশ্য আমরা এর অঙ্কগুলো আবার যোগ করি। এভাবে যোগ করতে করতে যদি তা ৯-এ পৌঁছায়, তাহলে পুরো সংখ্যাটি ৯ দিয়ে বিভাজ্য হবে। আর যদি যোগফল ৯ দিয়ে বিভাজ্য না হয়, তাহলে সংখ্যাটি ৯ দিয়ে বিভাজ্য হবে না। এ ক্ষেত্রে দেখছি, ৬৯৮৪ = (৬ + ৯ + ৮ +৪) = ২৭ = (২ + ৭) = ৯। সুতরাং, ৬৯৮৪ সংখ্যাটি ৯ দিয়ে নিঃশেষে বিভাজ্য।
প্রশ্ন হচ্ছে, কেন এটা হয়? এর কারণ হলো, ১০-এর যেকোনো ঘাত (পাওয়ার) নিয়ে প্রাপ্ত সংখ্যাকে ৯ দিয়ে ভাগ করলে ১ অবশিষ্ট থাকে। এবং যেকোনো সংখ্যার অঙ্কগুলোকে আমরা স্থানাঙ্ক দিয়ে প্রকাশ করলে তা ১০-এর কতগুলো ঘাত নিয়ে প্রাপ্ত সংখ্যার সমষ্টি হিসাবে প্রকাশ করতে পারি। তাই শেষ পর্যন্ত দেখা যায়, যেকোনো সংখ্যার অঙ্কগুলোর যোগফল ৯ দিয়ে বিভাজ্য হলে পুরো সংখ্যাটিই বিভাজ্য হয়।
যেমন: আমরা লিখতে পারি, ৬৯৮৪ = ৬০০০ + ৯০০ + ৮০ + ৪ = ৬*১০০০ + ৯*১০০ + ৮*১০ + ৪*১
= ৬*(১০০০) + ৯*(১০০) + ৮*(১০) + ৪*(১)
= ৬*(১ + ৯*১১১) + ৯*(১ + ৯*১১) + ৮*(১ + ৯*১) + ৪*(১ + ৯*০)
= (৬ + ৯ + ৮ + ৪) + (৯ দিয়ে বিভাজ্য একটি সংখ্যা)।
এখন আমরা দেখছি, সংখ্যাটির অঙ্কগুলোর যোগফল ৯ দিয়ে বিভাজ্য হলেই পুরো সংখ্যাটি ৯ দিয়ে বিভাজ্য হবে।
আরেকটি মজার প্রশ্ন দেখুন। বলুন তো দুই অঙ্কের কয়টি সংখ্যা ৯ দিয়ে নিঃশেষে বিভাজ্য?
এর উত্তর বের করার জন্য আমরা প্রথমে দেখব দুই অঙ্কের কোন সংখ্যাগুলোর অঙ্ক দুটির যোগফল ৯। তাহলেই উত্তর পেয়ে যাব।
দুই অঙ্কের সংখ্যাগুলো ১০ থেকে ৯৯-এর মধ্যে থাকবে। এদের মধ্যে ১৮, ২৭, ৩৬, ৪৫, ৫৪, ৬৩, ৭২, ৮১, ৯০ ও ৯৯—এই ১০টি সংখ্যাই ৯ দিয়ে বিভাজ্য।